সুমি যখন রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায়
রিকশা চালান, তখন দূর থেকে প্রথমেই অনেকে ‘মামা’ বলে
ডাক দেন। কিন্তু কাছে এসে বুঝতে পারেন তিনি একজন নারী। তখন মামা থেকে আন্টি
বা আপু ডাকেন যাত্রীরা। অনেকেই জানতে চান, কেন
তিনি রিকশা চালান, অন্য কাজ করলেই তো পারেন। তখন সুমির সাফ জবাব, ‘আমি
অন্য কোনো কাজ করতে পারি না।’
সংসারের বোঝা টানতে আর কোনো বিকল্প নেই বলেই রিকশা নিয়ে পথে নেমেছেন সুমি বেগম। পায়ে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল। গলায় রংচটা গামছা। মাথায় ক্যাপ সুমির নিত্যসঙ্গী। বয়স ২৪ বছর। এক সন্তানের মা তিনি। রিকশার আগে তিন বছর রাজধানীতে ভ্যান চালিয়েছেন সুমি। এরও আগে ছোটবেলায় প্রতিবন্ধী বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ভিক্ষা করতেন। বাবা মারা গেছেন। ছোট ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী। ভাই ও সুমির মেয়েকে নিয়ে মা মাদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। সুমির পাঠানো টাকা এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পান, তাই দিয়েই চলে সংসার। সুমি কামরাঙ্গীরচরে একা থাকেন।
সুমি জানালেন, কারখানায় কাজ করার সময় একজনের প্রেমে পড়েন। তারপর অল্প বয়সেই বিয়ে করেন। তবে মেয়ে যখন তিন মাসের পেটে, তখন প্রথম বুঝতে পারেন স্বামী নেশা করেন। স্বামীকে ছেড়ে নিজেই চলে আসেন মা-বাবার কাছে। তারপর স্বামীকে তালাক দেন। মেয়ে, মা, ভাই—তাঁদের কে দেখবে, সে কথা চিন্তা করে আর বিয়ে করেননি। এখন মেয়েকে শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখেন। মেয়ে পড়ছে প্রথম শ্রেণিতে।
সংসারের বোঝা টানতে আর কোনো বিকল্প নেই বলেই রিকশা নিয়ে পথে নেমেছেন সুমি বেগম। পায়ে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল। গলায় রংচটা গামছা। মাথায় ক্যাপ সুমির নিত্যসঙ্গী। বয়স ২৪ বছর। এক সন্তানের মা তিনি। রিকশার আগে তিন বছর রাজধানীতে ভ্যান চালিয়েছেন সুমি। এরও আগে ছোটবেলায় প্রতিবন্ধী বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ভিক্ষা করতেন। বাবা মারা গেছেন। ছোট ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী। ভাই ও সুমির মেয়েকে নিয়ে মা মাদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। সুমির পাঠানো টাকা এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পান, তাই দিয়েই চলে সংসার। সুমি কামরাঙ্গীরচরে একা থাকেন।
সুমি জানালেন, কারখানায় কাজ করার সময় একজনের প্রেমে পড়েন। তারপর অল্প বয়সেই বিয়ে করেন। তবে মেয়ে যখন তিন মাসের পেটে, তখন প্রথম বুঝতে পারেন স্বামী নেশা করেন। স্বামীকে ছেড়ে নিজেই চলে আসেন মা-বাবার কাছে। তারপর স্বামীকে তালাক দেন। মেয়ে, মা, ভাই—তাঁদের কে দেখবে, সে কথা চিন্তা করে আর বিয়ে করেননি। এখন মেয়েকে শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখেন। মেয়ে পড়ছে প্রথম শ্রেণিতে।

No comments:
Post a Comment