পরিমিত খাবার, শারীরিক শ্রম ও
ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন রোগটি শনাক্ত
করা। অনেক
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী জানেন না যে রোগটি পুষছেন
ডায়াবেটিস হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। পরিমিত খাবার, শারীরিক শ্রম ও ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ
সেবনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন
রোগটি শনাক্ত করা। অনেক
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী জানেন না
যে রোগটি পুষছেন। তাই
আগে জানা প্রয়োজন ডায়াবেটিস আছে কি না!
কিন্তু কী
করে জানবেন সেটা? আসুন, দেখে নিই ডায়াবেটিস
রোগের প্রধান লক্ষণগুলো কী কী?
*ঘন
ঘন পানির পিপাসা।
*ঘন
ঘন প্রস্রাব হওয়া।
*অতিরিক্ত
ক্ষুধা।
*শরীরের
ওজন কমে যাওয়া।
অন্যান্য
উপসর্গ: প্রধান
লক্ষণগুলো ছাড়াও এই
রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা যায়। এসব হলো শরীরে চুলকানি, বাত ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, ঘন ঘন চশমা বদল, পা জ্বালাপোড়া করা এবং অবশ বোধ করা, কাটা-ছেঁড়া সহজে না
শুকানো। যদি
আপনার এসব শারীরিক উপসর্গ থাকে
তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
কাদের
ঝুঁকি আছে: এ
ছাড়া লক্ষণ না থাকলেও প্রত্যেক
প্রাপ্তবয়স্ক লোকজনেরই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি, কায়িক পরিশ্রম করে
না যারা, যাদের
বাবা-মা, ভাইবোনের ডায়াবেটিস আছে, যারা উচ্চ রক্তচাপের
রোগী, যাদের
রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরল ৩৫–এর নিচে এবং
ট্রাইগ্লিসারাইড ২৫০–এর
বেশি। যেসব
নারীর গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস
রোগ ধরা পড়েছিল ও যাঁদের হৃদ্রোগ রয়েছে।
শিশুদের
ক্ষেত্রে: যেসব
শিশুর ওজন বেশি, যাদের
বাবা-মা, দাদা-দাদি, ফুফু, ভাই-বোনের ডায়াবেটিস
আছে, যাদের
শরীরে ইনসুলিনের
কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে, যাদের জন্মের সময় ওজন কম ছিল এবং যেসব
শিশুর মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে।
গর্ভকালীন
ডায়াবেটিস: গর্ভাবস্থায়
কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন তা অনেকেই জানেন না।
এ ক্ষেত্রে
গর্ভধারণের পরপরই একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে পাশাপাশি
গর্ভকালীন ২৪-২৮ সপ্তাহের সময়ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যাদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়
তাঁদের প্রসবের ছয়-বারো সপ্তাহ পর পরীক্ষা
করতে হবে।
মাসুদ করিম
কনসালট্যান্ট, অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট
চট্টগ্রাম
ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

No comments:
Post a Comment