HONS. COMPULSORY ENGLISH

Search This Blog

Friday, January 27, 2017

মায়ের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন সাইক্লিস্ট পারুল-সৌজন্যে ড্যাফোডিল ইংলিশ কোচিং, দৌলতপুর খুলনা—০১৭১৭-০৮৭১৯৯/০১৯১৭-৪৬১৬০৫




বৃদ্ধ মা মেয়ের মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আর মাঝেমধ্যে মূর্ছা যাচ্ছিলেনচেতন ফিরে পেয়েই তিনি বলছিলেন, ‘মেয়েটি ছিল আমার একমাত্র অবলম্বনতার পাঠানো রেশনের মালামাল আর টাকায় সংসার চলছিলএখন সংসার কীভাবে চলবে?’ এই কথাগুলো সাইক্লিস্ট পারুল আক্তারের মা হামিদা খাতুনের
পারুল গত মঙ্গলবার রাতে সাভারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেনকদিন আগে পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পারুলএরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় সাভারের এক হাসপাতালেহাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আর ফিরে আসেননি বাসায়ঢাকা থেকে লাশ হয়েই ফিরলেন গ্রামের বাড়িতেবৃহস্পতিবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে
পারুলের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামেতাঁরা তিন বোন ও দুই ভাইমেয়েদের মধ্যে পারুল দ্বিতীয়বড় দুই ভাই কৃষিকাজ করে সংসার চালানতাঁদের ভিটেবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই
গত বুধবার দুপুরে শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুরে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সবাই পারুলের মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছেনমৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছুই বলতে পারছেন নাপারুলের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘মেয়ে খেলাধুলা করে এলাকায় অনেক নাম করেছিলতার নাম সবাই জানেছেলেরা হতদরিদ্র হওয়ায় তাঁকে ঠিকমতো খেতে দিতে পারে নামেয়েটিই সব সময় তাঁর খবর নিয়েছেআনসার সদস্য হিসেবে যে রেশন পেত তার কিছুটা বাড়িতে পাঠাতএ ছাড়া বেতন পেলেই এক হাজার টাকা দিতএভাবেই সংসার চলছিল
হামিদা খাতুন আরও বলেন, পারুল গ্রামের স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ বেশিআর্থিক কারণে বেশি পড়ালেখা করতে না পেরে খেলাধুলার নেশায় চলে যায় বিকেএসপিতেসেখানে থেকে জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়
পারুল জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ২৫টি সোনার পদক জিতেছেন২০১০ সালে বাংলাদেশ গেমসে পাঁচটি সোনা জিতে সেরা সাইক্লিস্ট হয়েছেনগত বছর গুয়াহাটি এসএ গেমসে খেলে এসেছেন২০১৪ সালে দিল্লিতে এশিয়ান ট্র্যাক সাইক্লিংয়ে নিজের প্রথম ও শেষ আন্তর্জাতিক পদকটি (ব্রোঞ্জ) গলায় তোলেন

No comments:

Post a Comment