বৃদ্ধ মা মেয়ের মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আর মাঝেমধ্যে
মূর্ছা যাচ্ছিলেন। চেতন
ফিরে পেয়েই তিনি বলছিলেন, ‘মেয়েটি
ছিল আমার একমাত্র অবলম্বন। তার পাঠানো রেশনের মালামাল আর টাকায়
সংসার চলছিল। এখন
সংসার কীভাবে চলবে?’ এই
কথাগুলো সাইক্লিস্ট পারুল আক্তারের মা হামিদা খাতুনের।
পারুল গত মঙ্গলবার রাতে সাভারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কদিন আগে পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পারুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় সাভারের এক হাসপাতালে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আর ফিরে আসেননি বাসায়। ঢাকা থেকে লাশ হয়েই ফিরলেন গ্রামের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পারুলের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে। তাঁরা তিন বোন ও দুই ভাই। মেয়েদের মধ্যে পারুল দ্বিতীয়। বড় দুই ভাই কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তাঁদের ভিটেবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই।
গত বুধবার দুপুরে শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুরে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সবাই পারুলের মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছুই বলতে পারছেন না। পারুলের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘মেয়ে খেলাধুলা করে এলাকায় অনেক নাম করেছিল। তার নাম সবাই জানে। ছেলেরা হতদরিদ্র হওয়ায় তাঁকে ঠিকমতো খেতে দিতে পারে না। মেয়েটিই সব সময় তাঁর খবর নিয়েছে। আনসার সদস্য হিসেবে যে রেশন পেত তার কিছুটা বাড়িতে পাঠাত। এ ছাড়া বেতন পেলেই এক হাজার টাকা দিত। এভাবেই সংসার চলছিল।
হামিদা খাতুন আরও বলেন, পারুল গ্রামের স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ বেশি। আর্থিক কারণে বেশি পড়ালেখা করতে না পেরে খেলাধুলার নেশায় চলে যায় বিকেএসপিতে। সেখানে থেকে জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পারুল জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ২৫টি সোনার পদক জিতেছেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ গেমসে পাঁচটি সোনা জিতে সেরা সাইক্লিস্ট হয়েছেন। গত বছর গুয়াহাটি এসএ গেমসে খেলে এসেছেন। ২০১৪ সালে দিল্লিতে এশিয়ান ট্র্যাক সাইক্লিংয়ে নিজের প্রথম ও শেষ আন্তর্জাতিক পদকটি (ব্রোঞ্জ) গলায় তোলেন।
পারুল গত মঙ্গলবার রাতে সাভারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কদিন আগে পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পারুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় সাভারের এক হাসপাতালে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আর ফিরে আসেননি বাসায়। ঢাকা থেকে লাশ হয়েই ফিরলেন গ্রামের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পারুলের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে। তাঁরা তিন বোন ও দুই ভাই। মেয়েদের মধ্যে পারুল দ্বিতীয়। বড় দুই ভাই কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তাঁদের ভিটেবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই।
গত বুধবার দুপুরে শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুরে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সবাই পারুলের মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছুই বলতে পারছেন না। পারুলের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘মেয়ে খেলাধুলা করে এলাকায় অনেক নাম করেছিল। তার নাম সবাই জানে। ছেলেরা হতদরিদ্র হওয়ায় তাঁকে ঠিকমতো খেতে দিতে পারে না। মেয়েটিই সব সময় তাঁর খবর নিয়েছে। আনসার সদস্য হিসেবে যে রেশন পেত তার কিছুটা বাড়িতে পাঠাত। এ ছাড়া বেতন পেলেই এক হাজার টাকা দিত। এভাবেই সংসার চলছিল।
হামিদা খাতুন আরও বলেন, পারুল গ্রামের স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ বেশি। আর্থিক কারণে বেশি পড়ালেখা করতে না পেরে খেলাধুলার নেশায় চলে যায় বিকেএসপিতে। সেখানে থেকে জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পারুল জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ২৫টি সোনার পদক জিতেছেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ গেমসে পাঁচটি সোনা জিতে সেরা সাইক্লিস্ট হয়েছেন। গত বছর গুয়াহাটি এসএ গেমসে খেলে এসেছেন। ২০১৪ সালে দিল্লিতে এশিয়ান ট্র্যাক সাইক্লিংয়ে নিজের প্রথম ও শেষ আন্তর্জাতিক পদকটি (ব্রোঞ্জ) গলায় তোলেন।

No comments:
Post a Comment