HONS. COMPULSORY ENGLISH

Search This Blog

Monday, January 2, 2017

২০১৬ সাল বাংলাদেশের বাজারে সেরা ১০ ক্যারিয়ার-সৌজন্যে ড্যাফোডিল ইংলিশ কোচিং, দৌলতপুর খুলনা—০১৭১৭-০৮৭১৯৯/০১৯১৭-৪৬১৬০৫




আইটি : বলা যায়, শুধু দেশে নয়, বিশ্বজুড়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটে যাচ্ছেএই সেক্টরের প্রবৃদ্ধির হার ৩০০ শতাংশকী ধরনের কাজ আছে, বলার চেয়ে ভালো হয় কী ধরনের কাজ নেই! সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, থিম তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, নেটওয়ার্কিং, সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কর্মাস ইত্যাদিযে কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে এখানে কাজ করা যায়এর জন্য প্রস্তুতি হিসেবে সবার প্রথমে প্রয়োজন শেখার আগ্রহ এবং এডপ করার ক্ষমতা
হিউম্যান রিসোর্স : এক সময় এইচআর নিয়ে দেশি উদ্যোক্তাদের তেমন আগ্রহ ছিল নাতবে এর কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর চাহিদাপ্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সব কর্মকর্তা অথবা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের কাজের তদারকি করা এইচআরডির কাজএকটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী এইচআরডি কোম্পানির প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং কর্মীদের বেতন কাঠামো, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে এইচআরডিকর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা এবং এরা যাতে ঠিকভাবে কাজ করে সেদিকেও নজরদারি করে এ বিভাগএখানে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অবশ্যই মাস্টার্স/এমবিএ মেজর-ইন-এইচআর ডিগ্রিধারী হতে হবেতাহলে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবেকিছু কাজের আগে অভিজ্ঞতা থাকলে আরও ভালো হয়
ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স : দেশের তরুণদের পছন্দের চাকরির মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টর অন্যতমএর প্রধান কারণগুলো হলো বেতন কাঠামো, চাকরির নিরাপত্তা এবং পেনশনআমাদের দেশে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের পাশাপাশি অর্ধশত বেসরকারি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছেচলতি বছর পুরোটাই চাকরির বাজারে ভালো অবস্থানে ছিল ব্যাংকিং সেক্টরএখানে বিভিন্ন পোস্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা চাওয়া হয়তবে এমবিএ/এমবিএম/পোস্ট গ্র্যাজুয়েট/সিএ ডিগ্রিসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়
এনজিও : এ বছরও চাকরির বাজারে চাকরির ক্ষেত্র তৈরিতে এনজিও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেএনজিওগুলো শহর থেকে গ্রামে সব স্থানেই চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছেবিদেশি এনজিওগুলোর পাশাপাশি দেশীয় অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছেএ সেক্টরে চাকরির প্রতি তরুণদের আগ্রহ বেশিআর এর প্রধান কারণ হলো এখানে বেতন অনেক বেশি দেওয়া হয়যদিও একটু পরিশ্রম করতে হয় এ সেক্টরে তার পরও ভালো একটি অবস্থানে যেতে পারলে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়এ সেক্টরে চাকরির জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি, সিএ, এমবিএ ইত্যাদি শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়ইংরেজিতে লেখা ও বলা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণতাই এ সেক্টরে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইলে উপরোক্ত যোগ্যতা প্রয়োজনএর সঙ্গে ফিল্ড লেভেলে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আরও ভালো হয়
টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ : দেশে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং দিন দিন এ সেক্টরে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছেবিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের লোকবল প্রয়োজন হচ্ছেশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বর্তমানে অনেক কোম্পানি রিসার্চ সেন্টার চালু করছে, সেখানেও কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে টিচিং অ্যান্ড রিসার্চে ক্যারিয়ার গড়তে হলে নিষ্ঠাবান হওয়া বাঞ্ছনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন স্নাতকোত্তর এমবিএ, পিএইচডি, সিএসই, ইইউ ইত্যাদি এ সেক্টরে কাজের মাধ্যমে অনেক সম্মান অর্জন করা যায় এবং ভালো পারফর্ম করতে পারলে ভালো অর্থ উপার্জন সম্ভবতাই যারা টিচিং অ্যান্ড রিসার্চে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে এ সেক্টরে আসা উচিত
মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস : বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে ওষুধতাই এ সেক্টরে প্রতিনিয়ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোকবলের প্রয়োজন হচ্ছেএ সেক্টরে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়এ ছাড়া এমএসসি, এমবিএ, এম ফার্ম, বি ফার্ম ইত্যাদি শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে কাজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মাসিক নির্দিষ্ট বেতনের পাশাপাশি টার্গেট পূরণের ওপর অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়বর্তমানে অনেকেই ডিগ্রি পাস করে এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেকাজের ক্ষেত্রে অনেক বড় হওয়ায় এ সেক্টরে চাকরি পেতে সহজ হয়কাজের অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকলে এখানে খুব দ্রুত বেতন বেড়ে যায়Ñ তাই নতুন যারা চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে তাদের জন্য উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টর
আরএমজি : বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি ব্র্যান্ড হিসেবে উন্নত দেশগুলোয় পরিচিতি লাভ করেছেপর্যাপ্ত জনশক্তি, আকর্ষণীয় শ্রমবাজার ও ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য উন্নত বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে পোশাক খাতে বিনিয়োগ করছেবর্তমানে আমাদের দেশের প্রধান রপ্তানি খাতই হলো গার্মেন্ট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিংদেশের মোট রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই এ খাত থেকে আসছেবিশাল এ সেক্টরে প্রচুর দক্ষ লোকবল প্রয়োজন পড়ছেসেই তুলনায় কোম্পানির মালিকরা লোকবল পাচ্ছে নাএ সেক্টরে যেমন প্রয়োজন হচ্ছে সাধারণ শ্রমিক, তেমনি প্রয়োজন দক্ষ ও শিক্ষিত লোকবল যারা প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ে কাজ করবেগার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশে অনেক বায়িং প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যারা বিদেশ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে দেশীয় গার্মেন্টে কাজ পরিচালনা করে থাকেএখানেও দক্ষ লোকবলের সংকটএ সেক্টরে বর্তমানে উচ্চ বেতন দিয়ে দক্ষ লোকবল নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সেক্টরে গ্র্যাজুয়েটসহ বিবিএ, এমবিএ ইত্যাদি যোগ্যতা চাওয়া হয়পাশাপাশি মার্চেন্ডাইজিং জানা থাকলে চাকরি পেতে সহজ হয়
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেক্ট : সারা বিশ্বে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেক্টের চাহিদা অনেক বেশিতারই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও বর্তমানে এ সেক্টরের প্রতি নতুনদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেক্টের ওপর বিভিন্ন কোর্স রয়েছেএ সেক্টরে চাকরি করতে হলে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ, মাস্টার্সসহ বিভিন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যোগ্যতা চাওয়া হয়আর বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অন্য সেক্টর থেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়া যায় নিশ্চিন্তেশুধু প্রয়োজন নির্দিষ্ট এ যোগ্যতা ও কিছু কারিগরি অভিজ্ঞতা
সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং : সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশাযারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ সেক্টর উপযুক্ত স্থানআমাদের দেশে প্রতিনিয়ত নতুন প্রতিষ্ঠান চালু হচ্ছে এবং তাদের পণ্য বাজারজাত করতে প্রচুর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছেযদিও এক সময় সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং একই ডিপার্টমেন্ট ছিল কিন্তু বর্তমানে সেলস ও মার্কেটিং আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট হয়েছেসেই সঙ্গে এসব ডিপার্টমেন্টে প্রচুর দক্ষ লোকবল প্রয়োজন হচ্ছেএ সেক্টরে চাকরির জন্য সাধারণত বিবিএ, এমবিএ এবং মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও হিসাববিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েট চাওয়া হয়সঠিক জ্ঞান ও পরিশ্রম করলে এ সেক্টরে অল্প সময়ে ভালো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া : আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে কর্মসংস্থানের দিকও পরিবর্তন হয়েছেতারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ের সেরা ক্যারিয়ারের মধ্যে মিডিয়া সাইড উঠে এসেছেমিডিয়া সাইডের মধ্যে রয়েছে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াপ্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকতা, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার, আইটি প্রভৃতি এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ায়ও সাংবাদিকতা, ক্যামেরাম্যান, প্রোগ্রাম তৈরি করা অর্থাৎ ডিরেক্টর, অভিনয়, উপস্থাপনাসহ অনেক সাইডবর্তমানে এ সেক্টরের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ জড়িত রয়েছে এবং দিন দিন কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ সৃষ্টিতে এ সেক্টরের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছেচাহিদা থাকার কারণে বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কোর্সের ব্যবস্থা করছে এবং কিছু বেসরকারি ইউনিভার্সিটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করছেএ সেক্টরের চাকরির জন্য সাংবাদিকতা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট এবং অনার্স, মাস্টার্স ডিগ্রিসহ বিভিন্ন যোগ্যতা চাওয়া হয়

No comments:

Post a Comment