তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের
কাজের স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি চতুর্থবারের মতো সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড
সার্ভিসেস [বেসিস]। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা পর্যায়ে এবং নারী
বিভাগে দেওয়া হয়েছে মোট ১০০টি 'বেসিস আউটসোর্সিং
অ্যাওয়ার্ড ২০১৪'। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইমদাদুল হক
ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে দেশের তরুণরাই। সফল তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের ৪টি পৃথক বিভাগে ১০০টি পুরস্কার দিয়েছে বেসিস।
অনলাইনে আয় করেন এমন উদীয়মান মুক্ত পেশাজীবীদের সম্মানিত করতে 'ব্যক্তি' বিভাগে ছয়টি বিভাগে মোট ১৮ জন মুক্ত পেশাজীবীকে সম্মাননা দিয়েছে বেসিস। ক্যাটাগরিগুলো হলো_ ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস, অনলাইন মার্কেটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ব্লগিং ও কনটেন্ট রাইটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন। এ বিভাগে সেরা হতে তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। অনলাইন থেকে আয়, কাজের ধরন, মান ও সময় প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় রেখে নির্বাচিত করা হয় ১৮ জন বিজয়ী। এক্ষেত্রে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বিভাগে সেরা হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ, ইয়াসের আরাফাত ও মারুফ হাসান বুলবুল। ওয়েব ডিজাইন বিভাগে নিয়ামুল হাসান, নূর মুহাম্মদ ও নাজমুল হুসাইন; গ্রাফিক্স ডিজাইনে আবদুর রাজ্জাক, মহানন্দ সরকার ও নওশাদ আলম; অনলাইন ব্লগিংয়ে মোস্তাফা আল আমরান, শামসুল আনাম ইমন ও রবিউল ইসলাম; মোবাইল অ্যাপসে জিএম তাসনিম আলম, আবু সালেহ মুহাম্মদ কায়সার ও চৌধুরী রাশদি আল রাশীদ এবং এসিও অ্যান্ড অনলাইন বিভাগে আনিসুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান [হাসান সুমন] ও আবির মাহমুদ। মাদারীপুরের ছেলে আবির মাহমুদ জানালেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় [কুয়েট] থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০৯ সালের শেষ ভাগে আউটসোর্সিং শুরু করেন। ২০১২ সালে স্নাতক শেষ হয়। ২০১৩ সালে এক বছরেই তার আয় হয় ২৫ হাজার ডলার। কিন্তু জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে আউটসোর্সিং এখনও সমাজে স্বীকৃত না হওয়ায় চলতি বছরের শুরুতে নরসিংদী ডোরিং পাওয়ার প্লান্টে শিক্ষানবিশ প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি চলছে আউটসোর্সিংয়ের কাজ।
জেলা পর্যায়ের ৬৪ ফ্রিল্যান্সার
চলতি বছর জেলা পর্যায় থেকে পদক পেতে আবেদন করেন সহস্রাধিক ফ্রিল্যান্সার। তাদের মধ্য থেকে এবার বেসিস সেরা স্বীকৃতি পেলেন ৬৪ ফ্রিল্যান্সার। দুর্গম পার্বত্য জেলা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পুরস্কার পেতে আবেদন করেন ফ্রিল্যান্সাররা। এর মধ্যে যেমন আছেন
রাঙামাটির প্রতুক কান্তি তংচঙ্গা। তেমনি আছেন রংপুরের এবিএম ফারুকী রহমান কিংবা ঠাকুরগাঁওয়ের শাকিল হোসাইন। শাকিল জানান, ২০১১ সাল থেকে মাইক্রো ওয়ার্কস এবং ওডেক্সের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছেন তিনি। এখন প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার মতো আয় হয়। আগে চাকরি করতেন একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং।
সফল নারী ফ্রিল্যান্সার
পুরুষের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। নারী বিভাগে পুরস্কার পেতে জমা পড়েছিল অর্ধশত আবেদন। যাদের দুই-তৃতীয়াংশই গৃহিণী। ঘরদোর সামলেই তারা ঘরে বসেই আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। তাদের মধ্যে এ বছর সুলতানা পারভীন, মোছাম্মাৎ মাহমুদা এবং মাহফুজা সেলিম পেয়েছেন সেরার মুকুট। মাহফুজা সেলিম ময়মনসিংহ থেকে অনার্স করে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকার একটি কলেজে মাস্টার্স করছেন। থাকছেন বোনের বাসায়। নিজের আগ্রহ আর এই বোনের অনুপ্রেরণায় ২০১০ সালে তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর একটি কোর্স করেন। ওই সময়েই এক বন্ধুর কাছে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। বন্ধুর কাছ থেকে প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। প্রায় ৪ মাস পর প্রথম কাজ পান মাহফুজা। এখন মূলত বাচ্চাদের বইয়ের ইলাস্ট্রেশনের কাজ বেশি করে থাকেন তিনি। মাহফুজা মনে করেন, দেশে এখনও অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করাটা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে তাদের জন্য আদর্শ পেশা।
বর্ষসেরা প্রতিষ্ঠান
ব্যক্তিগত উদ্যোগে আউটসোর্সিং করে অনেকেই গড়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠান। এমন ১৫টি আইটি কোম্পানিকে এ বছর সেরা আউটসোর্সিং পদক দিল বেসিস। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সফটওয়্যার তৈরিতে এমঅ্যান্ডএইচ ইনফরমেটিক্স, কাজ সফটওয়্যার, অমরাভি লিমিটেড, এমএফ এশিয়া, স্ট্রাকচারড ডেটা সিস্টেমস, ন্যাসসেনিয়া, ব্রেইন স্টেশন ২৩, টিআরএস সফটওয়্যার, টপঅফস্ট্যাক সফটওয়্যার ও আস্থা আইটি রিসার্চ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি পুরস্কার পেয়েছে। আইটি নির্ভর সেবায় গ্রাফিক পিপল, ভাইভিড টেকনোলজিস, বোর্ডিং ভিসতা, সার্ভিস ইঞ্জিন এবং ল্যাটিচিউড ২৩ পুরস্কৃত হয়েছে। অ্যানিমেশন এবং মেকানিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্কিটেক্ট ডিজাইন ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন নিয়ে কাজ করা ল্যাটিচিউড২৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুহাম্মদ মহিউদ্দীন বললেন, বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক কর্মীই ফ্রিল্যান্সার। মোট ৩২ জনের এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে তিনি অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও নরওয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইটি সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। তিনি বললেন, আমরা কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিই না। সরাসরি যোগাযোগ এবং পরিচিতির মাধ্যমেই কাজ করে থাকি। এ মুহূর্তে বছরে তাদের আয় হচ্ছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফ্রিল্যান্সারদের পুরস্কার প্রদান সম্পর্কে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান জানান, রাজধানীর ওপর চাকরি প্রত্যাশি মানুষের চাপ কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে আউটসোর্সিং। এ জন্য তৃণমূল পর্যায়ে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে বেসিস।
ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে দেশের তরুণরাই। সফল তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের ৪টি পৃথক বিভাগে ১০০টি পুরস্কার দিয়েছে বেসিস।
অনলাইনে আয় করেন এমন উদীয়মান মুক্ত পেশাজীবীদের সম্মানিত করতে 'ব্যক্তি' বিভাগে ছয়টি বিভাগে মোট ১৮ জন মুক্ত পেশাজীবীকে সম্মাননা দিয়েছে বেসিস। ক্যাটাগরিগুলো হলো_ ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস, অনলাইন মার্কেটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ব্লগিং ও কনটেন্ট রাইটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন। এ বিভাগে সেরা হতে তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। অনলাইন থেকে আয়, কাজের ধরন, মান ও সময় প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় রেখে নির্বাচিত করা হয় ১৮ জন বিজয়ী। এক্ষেত্রে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বিভাগে সেরা হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ, ইয়াসের আরাফাত ও মারুফ হাসান বুলবুল। ওয়েব ডিজাইন বিভাগে নিয়ামুল হাসান, নূর মুহাম্মদ ও নাজমুল হুসাইন; গ্রাফিক্স ডিজাইনে আবদুর রাজ্জাক, মহানন্দ সরকার ও নওশাদ আলম; অনলাইন ব্লগিংয়ে মোস্তাফা আল আমরান, শামসুল আনাম ইমন ও রবিউল ইসলাম; মোবাইল অ্যাপসে জিএম তাসনিম আলম, আবু সালেহ মুহাম্মদ কায়সার ও চৌধুরী রাশদি আল রাশীদ এবং এসিও অ্যান্ড অনলাইন বিভাগে আনিসুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান [হাসান সুমন] ও আবির মাহমুদ। মাদারীপুরের ছেলে আবির মাহমুদ জানালেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় [কুয়েট] থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০৯ সালের শেষ ভাগে আউটসোর্সিং শুরু করেন। ২০১২ সালে স্নাতক শেষ হয়। ২০১৩ সালে এক বছরেই তার আয় হয় ২৫ হাজার ডলার। কিন্তু জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে আউটসোর্সিং এখনও সমাজে স্বীকৃত না হওয়ায় চলতি বছরের শুরুতে নরসিংদী ডোরিং পাওয়ার প্লান্টে শিক্ষানবিশ প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি চলছে আউটসোর্সিংয়ের কাজ।
জেলা পর্যায়ের ৬৪ ফ্রিল্যান্সার
চলতি বছর জেলা পর্যায় থেকে পদক পেতে আবেদন করেন সহস্রাধিক ফ্রিল্যান্সার। তাদের মধ্য থেকে এবার বেসিস সেরা স্বীকৃতি পেলেন ৬৪ ফ্রিল্যান্সার। দুর্গম পার্বত্য জেলা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পুরস্কার পেতে আবেদন করেন ফ্রিল্যান্সাররা। এর মধ্যে যেমন আছেন
রাঙামাটির প্রতুক কান্তি তংচঙ্গা। তেমনি আছেন রংপুরের এবিএম ফারুকী রহমান কিংবা ঠাকুরগাঁওয়ের শাকিল হোসাইন। শাকিল জানান, ২০১১ সাল থেকে মাইক্রো ওয়ার্কস এবং ওডেক্সের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছেন তিনি। এখন প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার মতো আয় হয়। আগে চাকরি করতেন একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং।
সফল নারী ফ্রিল্যান্সার
পুরুষের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। নারী বিভাগে পুরস্কার পেতে জমা পড়েছিল অর্ধশত আবেদন। যাদের দুই-তৃতীয়াংশই গৃহিণী। ঘরদোর সামলেই তারা ঘরে বসেই আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। তাদের মধ্যে এ বছর সুলতানা পারভীন, মোছাম্মাৎ মাহমুদা এবং মাহফুজা সেলিম পেয়েছেন সেরার মুকুট। মাহফুজা সেলিম ময়মনসিংহ থেকে অনার্স করে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকার একটি কলেজে মাস্টার্স করছেন। থাকছেন বোনের বাসায়। নিজের আগ্রহ আর এই বোনের অনুপ্রেরণায় ২০১০ সালে তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর একটি কোর্স করেন। ওই সময়েই এক বন্ধুর কাছে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। বন্ধুর কাছ থেকে প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। প্রায় ৪ মাস পর প্রথম কাজ পান মাহফুজা। এখন মূলত বাচ্চাদের বইয়ের ইলাস্ট্রেশনের কাজ বেশি করে থাকেন তিনি। মাহফুজা মনে করেন, দেশে এখনও অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করাটা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে তাদের জন্য আদর্শ পেশা।
বর্ষসেরা প্রতিষ্ঠান
ব্যক্তিগত উদ্যোগে আউটসোর্সিং করে অনেকেই গড়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠান। এমন ১৫টি আইটি কোম্পানিকে এ বছর সেরা আউটসোর্সিং পদক দিল বেসিস। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সফটওয়্যার তৈরিতে এমঅ্যান্ডএইচ ইনফরমেটিক্স, কাজ সফটওয়্যার, অমরাভি লিমিটেড, এমএফ এশিয়া, স্ট্রাকচারড ডেটা সিস্টেমস, ন্যাসসেনিয়া, ব্রেইন স্টেশন ২৩, টিআরএস সফটওয়্যার, টপঅফস্ট্যাক সফটওয়্যার ও আস্থা আইটি রিসার্চ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি পুরস্কার পেয়েছে। আইটি নির্ভর সেবায় গ্রাফিক পিপল, ভাইভিড টেকনোলজিস, বোর্ডিং ভিসতা, সার্ভিস ইঞ্জিন এবং ল্যাটিচিউড ২৩ পুরস্কৃত হয়েছে। অ্যানিমেশন এবং মেকানিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্কিটেক্ট ডিজাইন ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন নিয়ে কাজ করা ল্যাটিচিউড২৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুহাম্মদ মহিউদ্দীন বললেন, বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক কর্মীই ফ্রিল্যান্সার। মোট ৩২ জনের এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে তিনি অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও নরওয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইটি সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। তিনি বললেন, আমরা কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিই না। সরাসরি যোগাযোগ এবং পরিচিতির মাধ্যমেই কাজ করে থাকি। এ মুহূর্তে বছরে তাদের আয় হচ্ছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফ্রিল্যান্সারদের পুরস্কার প্রদান সম্পর্কে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান জানান, রাজধানীর ওপর চাকরি প্রত্যাশি মানুষের চাপ কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে আউটসোর্সিং। এ জন্য তৃণমূল পর্যায়ে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে বেসিস।

No comments:
Post a Comment